ফেসবুক থেকে ইনকাম! ফেসবুক থেকে ইনকাম! ফেসবুক থেকে ইনকাম! আর সহ্য হচ্ছে কি বন্ধুরা ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায় এটা নতুন কিছু না। যেখানে ফেসবুকের মালিক মার্ক জাকারবার্গ নিজেই প্রত্যেকদিন কয়েক মিলিয়ন ডলার ইনকাম করছে সেখানে তুমি কেন পারবে না। মার্ক জাকারবার্গ যেখানে প্রত্যেক দিন কয়েক মিলিয়ন ইনকাম করছে সেখানে তুমি একমাস সময় ব্যয় করে কেন ১০০ ডলার ইনকাম করতে পারবে না?
সময়টা এমন ছিল ২০০৪ শাল তখনই মার্ক জুকারবার্গের মাথায় ভূত চাপে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে তখন সেটাকে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পরিণত করে আস্তে আস্তে অনেক বেশি পপুলার হয়ে যায় একপর্যায়ে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ মার্ক জাকারবার্গের প্লাটফর্মে একাউন্ট করে। এখন সেখানে কয়েক বিলিয়ন মানুষ একাউন্ট করে বসে আছে কেউ ইনকাম করে কেউ আড্ডা দেয় কেউ টাইম পাস করে কেউ আবার চুরি করে। ফেসবুকে তুমি কি করো?
ফেসবুক থেকে ইনকাম আমি সিওর তোমাকে দিয়ে ইনকাম এইগুলা সম্ভব নয় ফেসবুকে পড়ে থাকো সারাদিন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে চ্যাটিং করার জন্য। না ভাই এগুলো করা যাবে না আমরা অধিকাংশ সময় ফেসবুকে পিছনে ব্যয় করি কিন্তু এখান থেকে আমাদের কোন ইনকাম নেই তাহলে কেন আমরা এখানে সময় নষ্ট করছি এটা বিবেকের কাছে জিজ্ঞেস করো! বিবেকের কাছে জিজ্ঞেস করো ফেসবুকের পিছনের সময়টা নষ্ট না করে কোন একটা কাজে যদি সময়টা নষ্ট করতে তাহলে এটা কি তোমার উপকার হতো না?
ফেসবুক থেকে অনেক ধরনের ইনকাম সোর্স রয়েছে যেগুলো তুমি খুব সহজেই করতে পারো কিন্তু তুমি চেষ্টা করছ না। ফেসবুকে কয়েক ধরনের কাজে লাগানো যায় কেউ কেউ কাজে লাগাচ্ছে বিজনেস পারপাসে, কেউ কাজে লাগাচ্ছে বন্ধুদের সাথে আড্ডা গার্লফ্রেন্ডের সাথে চ্যাটিং করার জন্য, আবার কেউ কাজে লাগাচ্ছে অন্যের আইডি চুরি করা বিভিন্ন অনলাইন লেনদেনের প্রতারণা করা নিয়ে। অবশ্য আমি তোমাকে এগুলো কোনটাই সাজেস্ট করবো না।
ফেসবুক থেকে ইনকাম!
চলো আমরা রীতিমতো ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে এই সময়টাকে ফেসবুকে এই ব্যয় করি এবং ফেসবুক থেকে কিছু ইনকাম করার বিষয় জেনে নেই। প্রথমত আসো তোমার আইডি থেকে একটা ফেসবুক পেইজ তৈরি করো। তোমার ফেসবুক পেইজ টাকে কোন কাজে ব্যবহার করবে অর্থাৎ এই ফেসবুক পেইজটি কে দিয়ে তুমি কি করবে সেই রিলেটেড একটা নাম চয়েজ করো এবং সেই রিলেটেড প্রোফাইল পিকচার কভার ফটো দিয়ে পেজটাকে ঝকঝকে ফ্রেশ করে ফেলো। পেজটা কেমনভাবে কাস্টমাইজেশন করো যাতে কেউ পেজটি ভিজিট করার মাধ্যমে বুঝতে পারে এটা রিয়েল এবং তারা যেন তোমার বিক্রয় করতে প্রোডাক্ট অথবা তুমি যে কাজে ব্যবহার করে শেখার জন্য আগ্রহী হয়।
তাহলে এখন কি করতে হবে? হ্যাঁ এটা সত্য পেজ খোলা মাত্রই মিলিয়ন মিলিয়ন লাইক আসবে না এজন্য তোমাকে ইনভেস্ট করতে হবে ফেসবুক পেইজ মার্কেটিং করতে হবে বুস্ট করতে হবে এক্ষেত্রে তোমাকে ইনভেস্ট করতে হবে। এখন তুমি যে টাকা দিয়ে আড্ডা দিতে বন্ধুদের সাথে বাসা থেকে যে টাকা চুরি করতে সেগুলো দিয়ে বুস্ট করো অল্প অল্প করে পোস্ট করো যাতে তোমার উপর অনেক বেশি ইফেক্ট না আসে। মোটামুটি ৫০,০০০ লাইক ফেসবুক এ নিয়ে আসো এরপরে তুমি চিন্তা করো তোমার ফেসবুক পেজ থেকে কি করবে কোন প্রোডাক্ট সেল করবে অথবা কোন ভিডিও তৈরি করবে কিনা।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তুমি রিসেলার প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারো যেমন প্রত্যেক প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিবে এজন্য তোমাকে কমিশন দিব তারা এর থেকে আরো ভালো হয় নিজে নিজেই ভিডিও তৈরি করো অর্থাৎ ভিডিও ক্রিয়েটর পেইজ। এটা করার জন্য তুমি তোমার মোবাইল থেকেই ব্লগিং শুরু করো অর্থাৎ কোথাও গেলেই শুরু করে দাও একটা ভিডিও ভিডিওটা সর্বোচ্চ তিন মিনিটের বেশি রাখার চেষ্টা করো এবং এমন ভিডিও করো যেটা তোমার পেইজের মানুষ যারা রয়েছেন, পেজে যার লাইক দিয়েছেন তারা চায়।
তাদের মাঝে পৌঁছে দাও তোমার ভিডিও দেখাও ভিডিওতে মোটামুটি ভাবে ট্রাফিক আসা শুরু করেছে তোমার ভিডিওগুলো মানুষ দেখতে শুরু করেছে তোমার পেইজে লাইক দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে বেড়ে যাচ্ছে। ওকে নিয়মিত কন্টিনিউ করো প্রত্যেকদিন ভিডিও দিতে থাকো আর হঠাৎ করে ভাইরাল হয়ে যাও। এবার শুরু হলো ফেসবুক মনিটাইজেশন।
ওকে তোমার সকল রিকোয়ারমেন্ট কমপ্লিট হয়ে গেছে এখন তুমি এপ্লাই করে দাও মনিটাইজেশন অবশ্যই কমপ্লিট হবে। তবে হ্যাঁ তোমার ফেসবুক পেজে যে সকল কন্টাক্ট অর্থাৎ ভিডিও আপলোড করবে সেগুলো অবশ্যই তোমার নিজের হতে হবে কারো কনটেন্ট কপি অথবা চুরি করা যাবে না তাহলে তুমি পড়ে মনিটাইজেশন পাবে না অর্থাৎ ইনকামের কোন সোর্স পাবে না। ঠিক আছে মনিটাইজেশন এপ্লাই করা হয়ে গেছে তুমি মনিটাইজেশন পেয়ে গেছে কংগ্রাচুলেশনস।
এবার দেখো ভিডিও দিতে থাকো ভিডিওতে ভালোবেসে আসবে তোমার পিকে যারা লাইক দিয়েছেন তারা কি ধরনের ভিডিও চাই সেই রিলেটেড ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করো অনেক বেশি ভিজিটর হবে অনেক বেশি ইনকাম হবে এভাবে চালিয়ে যাও। অনেক দূর এগিয়ে যাও।