অনলাইন থেকে উপার্জন কিভাবে করব?

হ্যালো! তোমরা সবাই কেমন আছো? তোমরা কি জানো অনলাইন থেকে উপার্জন করা যায়, আমার মনে হয় এটার সাথে অনেকেই পরিচিত তবে উপার্জন করার সিস্টেম গুলোর সাথে অনেকেই পরিচিত না। আজকে আমি তোমাদের জানাব কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই তোমার মোবাইল দিয়ে উপার্জন করবা।

শুনো ভাই, মানুষের ইচ্ছা শক্তি বড় শক্তি। একথাটি এজন্য বলেছি তোমার যদি ইচ্ছে থাকে মন থেকেই যে আমি অনলাইনের মাধ্যমে উপার্জন করবো অনলাইনের মাধ্যমে আমি একটি বিজনেস তৈরি করব অনলাইনের মাধ্যমে আমি আমার ক্যারিয়ার তৈরি করব তাহলে কিন্তু অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু তুমি মনে মনে এটা ভাবো আর সত্যিকার অর্থে পিছিয়ে যাও তাহলে কিন্তু কাজ হবে না তোমাকে লেগে থাকতে হবে তাহলেই কেবলমাত্র সফলতা পাবে।

তোমার কাজ হচ্ছে লেগে থাকা নিয়মিত কাজ করা কাজে কোন রকম ব্যর্থতা না দেখানো তাহলেই দেখবে সফলতা তোমার দরজায় নাড়া দিচ্ছে। তাহলে চলো অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে কিছু মাধ্যম আমরা জেনে নেই।

প্রথমত গুগল এডসেন্স:

গুগল এডসেন্স এটি হচ্ছে সম্পূর্ণ গুগলের একটি সার্ভিস এটি চাইলেই কেউ নিজের মত করে করতে পারে না এটি সম্পূর্ণ ডিপেন্ড করে গুগোল এর উপর একটি ওয়েবসাইটের মাল ওয়ালি ট্রেন কোয়ালিটি সবকিছুর উপর ডিপেন্ড করে গুগোল অ্যাপ্রুভ দিবে। ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য তোমাকে যেটি করতে হবে তা হচ্ছে-

– একটি টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার করতে হবে। (অপশনাল)

– একটি ভাল মানের প্রিমিয়াম টেমপ্লেট ব্যবহার করতে হবে। ফ্রি হলেও সমস্যা নেই।

– কনটেন্ট কলেজে অনেক বেশি ভালো থাকতে হবে এবং তোমার ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটা কনটেন্ট হতে হবে মিনিমাম ৬০০-১০০ ওয়ার্ড। এভাবে মিনিমাম তোমার ওয়েবসাইটে ২৫-৩৫ টি ইউনিক গুণমান কনটেন্ট থাকতে হবে।

– প্রত্যেকটা কন্টেন্টের সাথে ইউনিক এবং কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ব্যবহার করতে হবে সেই সাথে কন্টাক্ট এসইও এবং প্রত্যেকটা কনটেন্ট গুগলে ইনডেক্স থাকতে হবে।

– মনে রাখবে কনটেন্টগুলো অবশ্যই মান সম্মত হতে হবে। যেকোনো কনটেন্ট দিয়ে এপ্রুভ পাওয়া সম্ভব নয়। তোমরা অনেকেই এটি সহজ করার জন্য বিভিন্ন বাংলা কন্টাক্ট ট্রান্সলেট করে ইংলিশ করে নাও অথবা ইংলিশ কনটেন্ট ট্রান্সলেট করে বাংলা করে নাও এতে করে কিন্তু গুগোল আমাদের বোকামো ধরে ফেলবে। সুতরাং এগুলো কোনোভাবেই করা যাবে না।

এছাড়াও তোমার ডোমেইনটি যদি মোটামুটি ভাবে পুরনো হয় তাহলে আরো বেশি ভালো হবে। এছাড়া তোমার ওয়েবসাইটে যদি প্রত্যেক দিন অল্প কিছু হলেও ভিজিটর থাকে তাহলে আরো বেশি ভালো হবে তবে ভিজিটর ফ্যাক্ট না।

উপরে যে নিয়ম-নীতিগুলো বললাম এগুলো যদি সব তোমার ওয়েবসাইটে থাকে তাহলে অবশ্যই তোমার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল দিবে।

ইউটিউব মনিটাইজেশন:

তোমরা তো ইউটিউব এর সাথে অবশ্যই পরিচিত তোমরা তো জানো ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায় এবং এখান থেকে ভালো মানের একটা ইনকাম করা যায়। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য তোমাকে একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে, তুমি কি ডিলিটেড ভিডিও নিয়ে কাজ করবে তার উপর ডিপেন্ড করে তোমার চ্যানেলের নাম তৈরি করতে পারো। এরপরে তোমার চ্যানেলকে মানসম্মত করার জন্য সম্পূর্ণভাবে কাস্টমাইজেশন করো। কাস্টমাইজেশন হয়ে গেলে চ্যানেলে প্রত্যেকদিন ভিডিও আপলোড করো ভিডিও গুলো কোয়ালিটিফুল করো ভিডিওর ভয়েস স্ক্রিন রেকর্ডিং ফেইসক্যাম সবগুলো কোয়ালিফিকেশন করো।

একটা সময় তোমার চ্যানেলে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং তোমার সমস্ত ভিডিও গুলো তে মোট ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম নিয়ে আসতে হবে মনে রাখবি ওগুলো অবশ্যই তোমার হতে হবে এগুলো কবি ভিডিও হলে হবে না। ভিডিওগুলোর ডিউরেশন ভালো থাকতে হবে। ইউটিউব এর কন্ডিশন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এপ্লাই করতে পারো ইউটিউব এর কাছে মনিটাইজেশন এর জন্য।

কংগ্রাচুলেশন! তুমি এতো আমাকে টেনশন পেয়ে গেছেন এখন থেকে তোমার ইনকাম শুরু হবে ইনকাম কিন্তু ভিজিটর এর উপর ডিপেন্ড করে। তোমার ভিডিও মানুষ যত বেশি দেখবে তোমার ইনকাম কত বেশি হবে তাই ভিডিও কলে টি যত ভালো করা সম্ভব তত ভালো করো। ভিডিও অবশ্যই মানসম্মত করো। তোমার ভিডিও কল এটি যদি ভাল হয় তাহলে মানুষ দেখতে আগ্রহী হবে তোমার চ্যানেলটি অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করবেন।

সাবস্ক্রাইবার দিকে ফোকাস না দিয়ে ভিডিও কোয়ালিটি দিকে ফোকাস দাও এতে করে চ্যানেল ভালো রেংক করবে এবং মানুষ তোমার চ্যানেল কে চিনবে তোমার পরিচিতি লাভ হবে। একপর্যায়ে তোমাকে এডসেন্স ভেরিফিকেশন করে টাকা তুলতে হবে।

অবশ্য এখানেই শেষ নয় অনলাইন থেকে উপার্জন করার আরও হাজার হাজার মাধ্যম রয়েছে যা তোমরা অবলম্বন করতে পারো।

Leave a Comment