জীবনে সফল হতে হলে কি করতে হবে

জীবনে সফল হতে চাও? আমাদের প্রত্যেকের জীবনে একটা না একটা লক্ষ্য আছে কিন্তু আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি না। লক্ষ আমাদের থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা অনেক কষ্টসাধ্য যার কারণে সবার স্বপ্ন পূরণ হয় না এবং অনেকে ভেঙে পড়ে।

স্বপ্ন পূরণে জন্য টাকার প্রয়োজন।

যেমন ধরেন, কোন একজন মানুষের স্বপ্ন সে বড় হয়ে একজন ডাক্তার হবে, কিন্তু তার পারিবারিক আর্থিক সমস্যা অনেক বেশি সে অবস্থায় তার লক্ষ থাকা স্বর্থেও আর্থিক সমস্যার কারণে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না এবং তাকে সাহায্য করার মতন কেউ নেই যার কারণে তার হাত-পা বাঁধা। এমন অবস্থায় সে তার জীবনে সফল হতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না।

আমাদের দেশ একটি দরিদ্র প্রবণ দেশ যার ফলে আমাদের অনেক পরিবারের কি ছাত্র-ছাত্রী যড়ে পড়ে যাচ্ছে পড়ালেখার টাকা জোগাড়ের অভাবে যার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি হচ্ছে না। কিন্তু এমন এমন অবস্থায় পড়ালেখার শতকরা পাসের হার ১০০ থেকে ৮০ পার্সেন্ট হলেও তা মেধার দিক থেকে ৩০ পার্সেন্ট।

এর প্রধান কারণ হল দরিদ্র পরিবাবের সন্তানের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করে একটা সার্টিফিকেট অর্জন। যেন সে বলতে পারে সেও একজন শিক্ষিত একজন মানুষ।কিন্তু এমন অবস্থায় সে উচ্চ পর্যায়ে কোন পড়ালেখা করার ইচ্ছা না থাকায় তার পড়ালেখায় মন বসে না এবং সে পড়ালেখা করতে পারে না।

জীবনে সফল হতে ধৈর্যের সাফল্য!

একজন ধৈর্যশীল মানুষ সে তার লক্ষ্য ঠিক করলে সে তার লক্ষ্য থেকে কোনোভাবেই পিছপা হয়না। কারন সে জানে কোন কঠিন কাজের মধ্যে কষ্ট বিদ্যমান তাই কষ্টকে উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে যেন সুফল পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত যত বিখ্যাত মানুষ আছে তাদের প্রত্যেকের পিছনে কঠিন পরিশ্রম ও ধৈর্যের প্রয়োজন ছিল। ধৈর্যই একমাত্র সহায়ক ছিল যদি তারা ধৈর্য হারা তো তাহলে তারা এ পর্যায়ে আসতে পারত না। ধৈর্য মানুষকে পথ দেখায় মানুষকে সাহস যোগায় নতুনভাবে ওঠার শক্তি যোগায়।পরিস্থিতিকে সামাল দিতে শেখায়, সেই সাথে নিজেকে সাফল্যের পথ দেখায়, জীবনে সফল হতে ধৈর্যই হচ্ছে সকল সাফল্যের চাবিকাঠি। তাই ধৈর্য ধারণ শিখতে হবে।

কোনো কাজে মনোযোগ না বসলে করণিয় কি?

আপনি কোন একটা কাজে বসলেনতখন আপনার কাজে মন বসছেনা এমন অবস্থায় ওই কাজটা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দিন এবং ইকটু বাইরে ঘুরাঘুরি করেন পুনরায় এসে আবার কাজ করেন প্রয়োজন হলে আপনি টিভি সিরিয়াল, অথবা মুভি দেখেন। আপনি যদি আপনি টানা অনেক সময় কাজ করেন তাহলে আপনার মনের মধ্যে একটা বিরক্তভাব সৃষ্টি হয় যার কারণে কোন কাজে মন দিতে পারেন না এতে আপনার কাজটা ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় না। তাই যখনই আপনার মন খারাপ থাকে তখন কোথায় ঘুরতে বের হন অথবা একটা রোমান্টিক অ্যাকশন মুভি দেখতে পারেন যার ফলে আপনার মনটা পুরোপুরি ফ্রেশ হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে কাজ করতে ভালো লাগবে।

অথবা এমনও হতে পারে আপনি যখন কাজ করতে বসছেন তখন বাইরের সাউন্ড অথবা ডাকাডাকি আপনাকে ডাকাডাকির কারণে কাজটাতে মনোযোগ দিতে পারছেন না। সে অবস্থায় একটা নীরব জায়গায় কাজ করতে বসেন যাতে করে কেউ ডিস্টার্ব করতে না পারে এবং আপনার কাজটা প্রতি পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারেন এতে আপনার কাজটা যেমন ভালো তেমনি আপনার মনটা অনেক ভালো থাকবে।

কোনো কাজে ব্যর্থ হলে হতাশায় ভেঙে যাবেননা!

মানুষ যখন বড় একটা পরিকল্পনায় করে এবং সে পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে যায় তখন তার সামনে নানা রকম ব্যর্থতা সৃষ্টি হয় এবং সেই ব্যর্থতায় যদি নিজেকে বিলীন করে দেয় তাহলে সেই লোক আর কোন সময় তার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারে না। তার লক্ষ্য যদি বাস্তবায়ন না করতে পারে তাহলে সে আরো নিজের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। যার ফলে সে পরবর্তীতে কোন একটা কাজ বা বড় পরিকল্পনায় ভয় ভীতি সৃষ্টি হয় এবং সে বড় কোনো কাজ সম্পন্ন করতে পারে না।

কেননা প্রতিটা মানুষ যখন বড় কোন পরীক্ষায় পরিকল্পনা করে তখন তার একমাত্র সহায়ক হয় তার সাহস এবং তার ধৈর্য। মানুষ সাফল্যের পিছনে ব্যর্থতা লুকিয়ে থাকে এবং সেই ব্যর্থতাকে উপেক্ষা করেই তার জয় হয়। এই জয়ের কারণে তার সামনের দিনগুলো আরো সুন্দর ও উজ্জ্বল হয় তাই আমাদেরকে ব্যর্থতাকে গ্রহণ না করে ধৈর্য ধারণ করে সাফল্য গ্রহণ করতে হবে তাহলেই জীবনে সফল হতে পারবেন।

Leave a Comment