আপনার ভালো দিকগুলো চিন্তা করেছেন? আমরা মানুষ বড় অদ্ভুত প্রাণী। আমরা যে অদ্ভুত সেটা নিজেও বুঝি না এটা তো স্বাভাবিক। আমাদের মাঝে এমন কিছু হয়ে থাকে যেটা আমরা উপলব্ধি করি না বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছুই ঘটে যায় যেটা আমরা এলেও করিনা কিন্তু ছোট ছোট বিষয়গুলো এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় তখন আমরা বিষয়গুলো অ্যালাউ করে আমাদের উচিত তাহলে ছোট হোক বড় হোক সকল বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়া কিন্তু সেটা আমরা কজন এই করে থাকি?
জীবনে মহৎ এবং ভালো একটা কাজ করেছেন সেটা কে লিখে রাখুন কিন্তু না একটা কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এসব সমাপ্ত ওটাকে স্মৃতি হিসেবে আমরা রাখি না যার জন্য আমরা নিজেকে খুব ছোট মনে করি খুবই পাপী মনে করি। আপনি জীবনে যত ভালো কাজ করেছেন যেটা আপনার কাছে ভাল কাজ মনে হয়েছে সেটা কি আপনি লিস্ট করে রাখুন আপনি লিস্ট করে রাখুন এ বছরের শুরু থেকে আগামী বছর পর্যন্ত আপনি কতগুলো ভাল কাজ করেছেন অথবা এ মাসের ১ তারিখ থেকে এই মাসের শেষ ৩০ তারিখ পর্যন্ত আপনি কতগুলো ভালো কাজ কতগুলো খারাপ কাজ করেছেন তার লিস্ট রাখুন আপনার মধ্যে তাহলেই পরিবর্তন চলে আসবে।
আমরা খুব সহজেই ভেঙে পড়ে কেননা কোন খারাপ কাজের সাথে জড়িত হলে কিংবা অজান্তে কোন খারাপ কাজ হয়ে গেলে আমার মাধ্যমে তখন আমরা খুব খারাপ ভাবে ভেঙ্গে পড়ি আমরা মনে করি এটাই আমার সবচেয়ে খারাপ দিক ছিল আমি মনে হয় ক্ষমা প্রাপ্তি নয় কিন্তু আপনি হয়তো বা পিছনে অনেক ভালো একটা কাজ করেছেন যার কাছে এই খারাপ কাজটি কিছুই না। নিজেকে বুঝতে শিখুন তাহলেই কেবলমাত্র আপনি বুঝবেন হবেন শুধু নিজেকে অপরাধী ভাবলে আপনি অপরাধী।
আপনার ভালো দিকগুলো চিন্তা করেছেন?
আমরা প্রতিনিয়ত কত ভালো কাজের সাথে জড়িত থাকে সে কাজগুলো যদি আমরা লিস্ট করে রাখে হয়তোবা সে কাজ গুলোর তুলনায় খারাপ কাজগুলো কিছুই না। কেননা খারাপ কাজগুলো কিন্তু অধিকাংশ সময় আমাদের অজান্তে কিংবা আমাদের মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়ে থাকে আর ভালো কাজ গুলো আমাদের সামনে আমাদের ইচ্ছে হয়ে থাকে। তাই খারাপ কাজগুলোতে অত বেশি প্রাধান্য দেই না আমরা।
কখনো লিস্ট করে রেখেছেন কি আপনি আজকের দিনে কতগুলো ভাল কাজ করেছেন কতগুলো খারাপ কাজ করেছেন? না কখনো করেননি হয়তোবা এটা করলে অনেকে অদ্ভুত মনে করবে তুমি কি করছ এটা তুমি ভালো করছো না এটা তুমি বুঝতে পারবে না এমনটাই। বর্তমান সমাজে মানুষের মধ্যে চলাচলের জন্য আমাদের কত দিক নির্দেশনা মেনে চলতে হয় সেগুলো যদি আমরা মেনে চলতে চাই এক পর্যায়ে আমাদের অনেকটা খারাপ দিকে এগিয়ে যেতে হয়।
বর্তমানে আপনিও একজন চাকুরীজীবি সেটা হক সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো চাকরি হোক না কেন আপনি একটা ভালো পদে রয়েছেন সেখানে বসে আপনি চিন্তা করবেন আমি বেতন পাচ্ছি এখন ৪০,০০০৳ আমি যদি প্রত্যেক মাসে ৫-৮ জলের থেকে ঘুষ নিই তাহলে সেখানে আমার বেতন দাঁড়িয়ে যাবে ৮০,০০০৳। আসলে এই চিন্তা ধারা গুলো আমাদের কে কুরে কুরে খাচ্ছে। এই টাকাগুলো আসলে আপনার জন্য কি হালাল?
আপনি একজন মুসলমান হয়ে কিভাবে টাকা গুলো ভক্ষণ করবেন? কিভাবে পারবেন আপনার ছেলে-মেয়েদের এই টাকাগুলো দিয়ে খাবার কিনে দিতে কিভাবে পারবেন তাদেরকে এ টাকা গুলো দিয়ে স্কুলে পড়ালেখা করাতে? তবে হ্যাঁ খারাপ কাজের সাথে জড়িত মোটেও থাকা যাবে না ভালো কাজগুলো করুন ভালো কাজগুলোর লিস্ট করুন দেখবেন ভালো কাজের তুলনায় আপনার খারাপ কাছে মোটেও বেশি নয়। বিশেষ করে যখন দেখবেন ভালো কাজের সংখ্যা বেশি তখন ভালো কাজ করতে আপনার মন থেকে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন।
কত মানুষ হয়েছেন যারা আল্লাহ ওয়ালা সারাক্ষণ ভালো কাজে নিমজ্জিত তারাও নিজেকে পাপী মনে করেন তারা মনে করেন আমি কতটা খারাপ কাজ করেছি আমার খারাপ কাজগুলো আল্লাহ মাফ করবেন তো এই এরকম মনে করেন তারা সত্যিকার অর্থে এরকম মনে করাটাই স্বাভাবিক নিজের মধ্যে ভয় থাকলে ভালো কাজের দিকে অগ্রসর হতে পারবেন।
ভালো-মন্দ আমরা সবাই বুঝতে পারি একজন নাবালক থেকে সাভার লোক হওয়ার পরে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ এটা বুঝতে অনেক বেশি কষ্ট আমাদের হয় না তাই খারাপ কাজকে ত্যাগ করে ভালো কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে আমাদের। সমাজ মন সবকিছু পরিবর্তন করার দায়িত্ব আমার দায়িত্ব আমাকে বহন করতে হবে।